Saturday, August 22, 2015

শক্তির উৎস



বীরের মতো এগিয়ে চলুন। একদিনে বা একবছরে সফলতার আশা করবেন না। সর্বদা শ্রেষ্ঠ আদর্শকে ধরে থাকুন। দৃঢ় হউন, ঈর্ষা ও স্বার্থপরতা বিসর্জন দিন। নেতার আদেশ মেনে চলুন; আর সত্য, স্বদেশ ও সমগ্র মানবজাতির নিকট চিরবিশ্বস্ত হউন; তা হলেই আপনি জগৎ কাঁপিয়ে তুলবেন। মনে রাখবেন- ব্যক্তিগত চরিত্রএবং জীবন শক্তির উৎস, অন্য কিছু নহে।
-------------------------------স্বামী বিবেকানন্দ। 

Please Like is on: Alokito Manush

<<<<<<<<<>>>>>>>>>

Tuesday, April 21, 2015

সনাতন ধর্ম ও পরিবেশ



সনাতন ধর্ম সব সময়ই পরিবেশ বান্ধব দর্শন অনুসারে চলে প্রকৃতপক্ষে বলা যায় যে সনাতন ধর্মের মতো প্রকৃতি সচেতন ধর্ম আর বিশ্বে নেই মহাভারত, রামায়ন, বেদ, উপনিষদ, ভগবদগীতা পুরাণসমূহে পরিবেশ সংরক্ষনের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে পৃথিবী প্রকৃতিকে কখনো শাসন করার কথা বলেনি এই ধর্ম বরং প্রকৃতি বিরূপ আচরন করলেও তা সহ্য করতে বলা হয়েছে এমন কিছু করতে নিষেধ করা হয়েছে যা প্রকৃতির বিরুদ্ধে যায়
বেদে বলা হয়েছেঃ
পুকুর, নদী, খাল, বনাঞ্চল এসব দুষিত বা ধ্বংস কোর না। ( যজুর্বেদঃ .২২)
বায়ুতে আমরা সচ্ছন্দে বেঁচে থাকি, একে দুষিত কোর না। ( যজুর্বেদঃ .২৩)
মাটি দূষণ কোর না। (যজুর্বেদঃ ১৩.৩৮)
আমরা সকলেই জানি বায়ু, জল, ভুমি, অগ্নি, আকাশ এই পাচটি উপাদান সনাতন পুজার অবিচ্ছেদ্য অংশ। বেদে এই পাচটি উপাদান নিয়ে অনেক মন্ত্র আছে।
ঋগ্বেদ .১০ মন্ত্রটি জলকে উৎসর্গ করা হয়েছে। এই মন্ত্রটিতে জলের জীবন দানের ক্ষমতাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে যা শুধু শারীরিক ভাবেই নয় আধ্যাত্মিক ভাবেও।
ঈশ উপনিষদে একটি মন্ত্রে বলা হয়েছেঃ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সবকিছুই পরমাত্মা ঈশ্বরের। তাই শুধুমাত্র তোমার যা প্রয়োজন এবং যা তোমার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে তাই ব্যাবহার করো। তার চেয়ে বেশি কিছু নিও না।
তাছাড়াও সনাতন ধর্মে বৃক্ষকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়েছে। পুরাণে বলা হয়েছে, ‘ তোমরা যদি একটি বৃক্ষ কর্তন কর তবে তার বিনিময়ে দশটি উদ্ভিদ রোপন করো।আমরা জানি, খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ২৫০ বছর পূর্বে তৎকালীন সম্রাট অশোক বন সংরক্ষনের বিশেষ ব্যাবস্থা নিয়েছিলেন শুধুমাত্র একটি দর্শনের উপর ভিত্তি করেই, তা হল সকল জীবের মধ্যে আত্মার উপস্থিতি। সকল জীবের মধ্যে আত্মার অবস্থান যা সনাতন ধর্মের একটি মুল দর্শন। যেটি আমাদের সকল জীবের প্রতি অহিংস হতে শিক্ষা দেয়।
সনাতন ধর্মে জীবনদায়ী নদীকে দেবী রূপে কল্পনা করা হয়। যেমন আমরা সকলেই মাতা গঙ্গার কথা জানি। সনাতন শাস্ত্রসমুহে এমন অনেক বর্ণনাই আছে যা বলে শেষ করা সম্ভব নয়। তাই পরিবেশ রক্ষায় সনাতন দর্শনের বিকল্প কিছুই নেই।
আপনি যদি প্রকৃতই ধর্মপ্রাণ হন তবে পরিবেশ রক্ষা করুন, প্রকৃতিকে শ্রদ্ধা করুন। কারন প্রকৃতির মাঝেই মিশে আছেন স্বয়ং ঈশ্বর।

Like us: Alokito Manush 

<<<<<<<<<<<<>>>>>>>>>>>

Friday, March 20, 2015

পড়ালেখার ক্ষেত্রে কিভাবে মনোযোগ বৃদ্ধি করা যায়?




একটা ইতিহাস ক্লাস চলছে। আপনি একটি বই নিয়ে বসে আছেন। ক্লাসে শিক্ষক লেকচার দিচ্ছেন। আপনি বইয়ের দিকে তাকিয়ে আছেন কিন্তু বইয়ের একটি শব্দও আপনার মাথায় ঢুকছে না। আপনি শারীরিক ভাবে ক্লাসে উপস্থিত আছেন কিন্তু আপনার মন ক্লাসে নেই।
সাধারনত এরকম সমস্যায় প্রায়ই পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের। মনযোগ না থাকলে পড়ালেখা করতে অনেক বিরক্তি লাগে।
এই ধরনের সমস্যা থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যায় তা নিয়ে গবেষকরা অনেক রিসার্চ করেছেন। তারা দেখেছেন নিয়মিত ধ্যান অভ্যাস এই সমস্যার সমাধান দিতে পারে।
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছু টিপস নিচে দেয়া হলঃ

১) যে বিষয়টি পড়তে আপনার বিরক্তি লাগে তাকে ভালবাসতে চেষ্টা করুন।
২) নিয়মিত সর্বঙ্গাসন করুন। এটি আপনার মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করবে ফলে আপনার মস্তিষ্ক পড়ালেখার প্রতি মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে।
৩) প্রতিদিন ২-৩ মিনিট প্রানায়ামের অভ্যাস করুন। এটি আপনার মনের বিরক্তিভাব দূর করতে সহায়তা করবে।
৪) সবসময় সাত্ত্বিক খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৫) প্রতিদিন রাতে অবশ্যই ৮ ঘন্টা ঘুমানোর চেস্টা করুন।
৬) ভোরে ঘুম থেকে উঠে কমপক্ষে ২০ মিনিট ধ্যান করুন।

                   এই টিপস সমুহ যদি কোন শিক্ষার্থী পালন করেন তবে অবশ্যই এর সুফল পাওয়া যাবে। প্রতিনিয়ত যোগাভ্যাসের চেষ্টা করুন। এটি আপনার মন ও স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখবে। 

Facebook page: Alokito Manush 

<<<<<<<>>>>>>>