Wednesday, July 9, 2014

কালী মায়ের আমেরিকান ভক্ত উইলিয়াম ক্লার্ক যিনি ভারতকে বানিয়েছেন নিজের ঘরঃ



       আমি ২০০০ সালে তার (মা কালীর) ভক্ত হয়েছি তার দর্শন পাওয়ার পর। সেই সময়ে আমি হিন্দুধর্ম সম্পর্কে জানতাম না বা আমার এই বিষয়টি নিয়ে তেমন আগ্রহ ছিল না। একদিন আমি বাড়ির পথে হাঁটছিলাম এবং হঠাৎ আমি অভিভুত হলাম এক অদ্ভুত অনুভুতির দ্বারা। মনে হচ্ছিল কেউ যেন আমার সাথে যোগাযোগ করতে চাইছে। আমি একটি দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়ালাম এবং চোখ দুটি বন্ধ করলাম। তিনি ছিলেন আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে সুন্দরী মহিলা – যথার্থেরও অধিক। তিনি আমার হৃদয়ের মাঝে নৃত্য করছিলেন এবং ঘুরছিলেন। আমি তৎক্ষণাৎ তার ভালবাসায় পতিত হলাম এবং চিরজীবনের জন্য তার কাছে নিজেকে উৎসর্গ করলাম।
   আমার মনে হয় মা ই আমাকে বেছে নিয়েছেন। এটা প্রাথমিকভাবে জীবনকে কঠিন করলেও ঐ মুহূর্ত থেকেই আমার জীবনের সবকিছু পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। এখন আমি পশ্চিমবঙ্গে বাস করি এবং মায়ের ভালবাসা সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে যা করার দরকার তাই করি এবং উপলব্ধি করি হিন্দু ধর্মকে অন্যদের সাথে।
  তাই আমার এই যাত্রায় আমি তথ্য শেয়ার করি হিন্দুধর্মের জন্য বিশেষত মায়ের জন্য।


আপনারা চাইলে তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেনঃ  https://www.facebook.com/kalibhakta


<<<<<<<<<<>>>>>>>>>>>


ভাবী সভ্যতার দিক নির্ণয়ঃ



শুধু আধ্যাত্মিক জ্ঞানই আমাদের দুঃখরাশির আত্যন্তিক নিবৃত্তি করিতে পারে। অন্য যে কোন জ্ঞান কিছু সময়ের জন্য মাত্র আমাদের অভাব মিটাইতে পারে। আত্মজ্ঞানের উন্মেষ হইলেই অভাব-বোধ চিরতরে বিদূরিত হয়।
     দৈহিক শক্তির বিকাশ অবশ্যই বড় কথা; বৈজ্ঞানিক তথ্যানুসন্ধী যন্ত্রসমুহের মধ্য দিয়া মনীষার যে অভিব্যাক্তি দেখা যায়, তাহাও অদ্ভুত বটে; তবুও আত্মিক শক্তি জগতের উপর যে প্রভাব বিস্তার করে, তাহার তুলনায় এই সব শক্তি নগন্য।
    যন্ত্র কখনো মানুষকে সুখী করিতে পারে নাই, কখনো পারিবে না। যাহারা যন্ত্র-সভ্যতার মাহাত্ম্য প্রচার করে, তাহাদের মতে যন্ত্রের মধ্যেই সুখ নিহিত। বাস্তবিক পক্ষে সুখের উদ্ভব ও স্থিতি মনেই। মন যাহার বশে, সেই কেবল সুখী, ওপর কেহ নয়। সমগ্র পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রন করার শক্তিও যদি পাও, বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডের প্রত্যেকটি পরমাণুকে যদি করতলগত করিতে পারো, তাহাতেই বা তোমার কি লাভ? বস্তুতঃ প্রকৃতিকে জয় করিবার জন্যই মানুষের জন্ম; পাশ্চাত্য জনগন ‘প্রকৃতি’ বলিতে স্থুল অর্থাৎ বহিঃপ্রকৃতিকেই বুঝিয়া থাকে। অশেষ শক্তির আধার নদী, পর্বত, সাগর প্রভৃতি অসংখ্য বৈচিত্র্যের সমাবেশে এই বহিঃপ্রকৃতি সত্যই বিরাট। কিন্তু ইহা অপেক্ষাও এক মহত্তর প্রকৃতি – মানুষের অন্তর্জগৎ। এই অন্তর্জগতের সমীক্ষাতেই প্রাচ্য প্রতিভা – সম্যক বিকশিত হইয়াছে, যেমন বহিজগতের ক্ষেত্রে প্রতীচ্য প্রতিভা।
    পাশ্চাত্য দেশে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য জগতে যেমন সত্য, প্রাচ্যে অতীন্দ্রিয় জগত সেইরুপ। মানব জাতির অগ্রগতির জন্য পাশ্চাত্য আদর্শের মতো প্রাচ্য আদর্শেরও প্রয়োজন রহিয়াছে; বোধ হয় সে প্রয়োজন আরও বেশি।
    পার্থিব ক্ষমতায়  শক্তিশালী জাতিগুলি মনে করে যে, ঐ শক্তিই একমাত্র কাম্য, উহাই প্রগতি ও সংস্কৃতি; যাহাদের বিত্তলালসা নেই, ঐহিক প্রতাপ নাই – তাহারা বাচিয়া থাকিবার অযোগ্য। পক্ষান্তরে অন্য কোন জাতি মনে করিতে পারে – নিছক জড়বাদী একান্ত নিরর্থক! প্রত্যেকটিরই নিজস্ব গুরুত্ব ও মহিমা আছে। এই দুইটি আদর্শের মিলন ও সামঞ্জশ্যই হইবে বর্তমান কালের মীমাংসা।

--------------------- স্বামী বিবেকানন্দ। 


<<<<<<<<<>>>>>>>>>